ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা:
স্পর্শ নিউজে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং নিউজ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন whatsapp নাম্বারে০১৭১৬-৭২৯৫৭৪ অথবা ইমেইল নাম্বারে refazbiswas@gmail.com স্পর্শ নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

উত্তরা ইপিজেডে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে এভারগ্রিনের ৭ লাখ টাকা সহায়তা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
স্পর্শ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উত্তরা ইপিজেডে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে এভারগ্রিনের ৭ লাখ টাকা সহায়তা

মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড) বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত শ্রমিক হাবিবুর রহমানের পরিবারকে দ্বিতীয় দফায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরি (বিডি) লিমিটেড।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হংকংভিত্তিক চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মি. ফেলিক্স ওয়াই.সি. চ্যাং নিহতের পরিবারের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এর আগে প্রাথমিকভাবে ২ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে পরিবারটি মোট ৭ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পেল।

সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় নিহত হাবিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা গভীর সংকটে পড়েছেন। তবে এভারগ্রিনের সহায়তা অন্তত কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।

এভারগ্রিনের চেয়ারম্যান ফেলিক্স ওয়াই.সি. চ্যাং বলেন, “প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শ্রমিক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তার পরিবারের পাশে থেকে ভবিষ্যতেও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।”

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধের জেরে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান (২১) নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ও সেনাসদস্যসহ অন্তত ২৪ জন আহত হন। নিহত হাবিবুর রহমান জেলা সদরের সংগলশী ইউনিয়নের কাজীরহাট মাছিরচাক গ্রামের বাসিন্দা এবং ইকু ইন্টারন্যাশনাল কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, নিহতের পরিবারের জন্য সরকারি সহায়তার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। শ্রমিক নেতারা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য শ্রমিক–নিয়োগকর্তা–প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর সংলাপের দাবি জানিয়েছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

উত্তরা ইপিজেডে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে এভারগ্রিনের ৭ লাখ টাকা সহায়তা

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উত্তরা ইপিজেডে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে এভারগ্রিনের ৭ লাখ টাকা সহায়তা

মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড) বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত শ্রমিক হাবিবুর রহমানের পরিবারকে দ্বিতীয় দফায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরি (বিডি) লিমিটেড।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হংকংভিত্তিক চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মি. ফেলিক্স ওয়াই.সি. চ্যাং নিহতের পরিবারের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এর আগে প্রাথমিকভাবে ২ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে পরিবারটি মোট ৭ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পেল।

সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় নিহত হাবিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা গভীর সংকটে পড়েছেন। তবে এভারগ্রিনের সহায়তা অন্তত কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।

এভারগ্রিনের চেয়ারম্যান ফেলিক্স ওয়াই.সি. চ্যাং বলেন, “প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শ্রমিক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তার পরিবারের পাশে থেকে ভবিষ্যতেও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।”

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধের জেরে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান (২১) নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ও সেনাসদস্যসহ অন্তত ২৪ জন আহত হন। নিহত হাবিবুর রহমান জেলা সদরের সংগলশী ইউনিয়নের কাজীরহাট মাছিরচাক গ্রামের বাসিন্দা এবং ইকু ইন্টারন্যাশনাল কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, নিহতের পরিবারের জন্য সরকারি সহায়তার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। শ্রমিক নেতারা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য শ্রমিক–নিয়োগকর্তা–প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর সংলাপের দাবি জানিয়েছেন।