ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা:
স্পর্শ নিউজে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং নিউজ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন whatsapp নাম্বারে০১৭১৬-৭২৯৫৭৪ অথবা ইমেইল নাম্বারে refazbiswas@gmail.com স্পর্শ নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

নীলফামারীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৭ পরিবারের ৩০ ঘর ভস্মীভূত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে
স্পর্শ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৭ পরিবারের ৩০ ঘর ভস্মীভূত

মো. সাইফুল ইসলাম-নীলফামারী প্রতিনিধি।

নীলফামারী জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব তেলিপাড়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৭ পরিবারের প্রায় ৩০টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার দিকে হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই গোটা গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।

sporsonews24.com
নীলফামারীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৭ পরিবারের ৩০ ঘর ভস্মীভূত

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের শরিফুল ইসলামের বাড়ি থেকে বৈদ্যুতিক শটসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরে রাখা ধান, চাল, আসবাবপত্র, নগদ অর্থসহ সবকিছু পুড়ে যায়।

ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

খবর পেয়ে নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ফলে পাশের আরও অন্তত ২০টি পরিবার অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পায়।

নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক (অঃদা:) সাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ চলছে। তবে ঘটনাস্থলে অন্তত ১৭টি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে।”

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শরিফুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার চারটি ঘর, ধান-চাল, নগদ টাকা—সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে কোথায় যাব জানি না।”

ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো একেবারেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই পর্যন্ত নেই। অবিলম্বে সরকারি সহায়তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না হলে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা মানবেতর জীবনযাপন করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নীলফামারীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৭ পরিবারের ৩০ ঘর ভস্মীভূত

আপডেট সময় : ১০:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীলফামারীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৭ পরিবারের ৩০ ঘর ভস্মীভূত

মো. সাইফুল ইসলাম-নীলফামারী প্রতিনিধি।

নীলফামারী জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব তেলিপাড়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৭ পরিবারের প্রায় ৩০টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার দিকে হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই গোটা গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।

sporsonews24.com
নীলফামারীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৭ পরিবারের ৩০ ঘর ভস্মীভূত

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের শরিফুল ইসলামের বাড়ি থেকে বৈদ্যুতিক শটসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরে রাখা ধান, চাল, আসবাবপত্র, নগদ অর্থসহ সবকিছু পুড়ে যায়।

ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

খবর পেয়ে নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ফলে পাশের আরও অন্তত ২০টি পরিবার অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পায়।

নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক (অঃদা:) সাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ চলছে। তবে ঘটনাস্থলে অন্তত ১৭টি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে।”

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শরিফুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার চারটি ঘর, ধান-চাল, নগদ টাকা—সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে কোথায় যাব জানি না।”

ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো একেবারেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই পর্যন্ত নেই। অবিলম্বে সরকারি সহায়তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না হলে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা মানবেতর জীবনযাপন করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।