ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা:
স্পর্শ নিউজে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং নিউজ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন whatsapp নাম্বারে০১৭১৬-৭২৯৫৭৪ অথবা ইমেইল নাম্বারে refazbiswas@gmail.com স্পর্শ নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
স্পর্শ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মোঃ ফাহিম- পবিপ্রবি প্রতিনিধি,

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) লোন শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণের কিস্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাংকে জমা দেওয়ার পরিবর্তে ভূয়া জমা স্লিপ দেখিয়ে তাঁরা প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পেনশন সেলের উপপরিচালক মো. রাজিব মিয়া ও একই শাখার ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট আবু ছালেহ মো. ইছা। হিসাব শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে পবিপ্রবির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য জিপিএফের ১০% কর্তনের তহবিল থেকে রূপালী ব্যাংক পবিপ্রবি শাখার মাধ্যমে মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণ চালু হয়। ঋণগ্রহীতারা শর্ত অনুযায়ী কিস্তি পরিশোধ করলেও অভিযোগ উঠেছে, ওই দুই কর্মকর্তা সেই টাকা জমা না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করেন।

সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ অডিটে হিসাবের গরমিল ধরা পড়লে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে অভিযুক্তরা ভুল স্বীকার করে ৩২ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নামও এ ঘটনায় এসেছে, যাঁরা ঋণ পরিশোধের ভুয়া রশিদ পেয়েছেন। এর মধ্যে উপ-রেজিস্ট্রার (প্ল্যানিং) মো. খাইরুল বাসার মিয়া, পরিবহন শাখার সেকশন অফিসার সবুর খান, হেলপার আবু জাফর, ফটোমেশিন অপারেটর শামীম খান, অডিট সেলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ফরিদা বেগম, অ্যাম্বুলেন্সচালক আলম ও বাজেট শাখার অফিস সহায়ক মাসুদ রয়েছেন।
ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট আবু ছালেহ মো. ইছা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এটি আত্মসাৎ নয়, হিসাবের গরমিল। শিগগিরই তা ঠিক হয়ে যাবে। কারও টাকা হারাবে না।” অপর অভিযুক্ত মো. রাজিব মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “আর্থিক অসামঞ্জস্যের কারণে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা টাকা উদ্ধারের কৌশল নিয়েছি। টাকা উদ্ধার হওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মোঃ ফাহিম- পবিপ্রবি প্রতিনিধি,

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) লোন শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণের কিস্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাংকে জমা দেওয়ার পরিবর্তে ভূয়া জমা স্লিপ দেখিয়ে তাঁরা প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পেনশন সেলের উপপরিচালক মো. রাজিব মিয়া ও একই শাখার ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট আবু ছালেহ মো. ইছা। হিসাব শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে পবিপ্রবির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য জিপিএফের ১০% কর্তনের তহবিল থেকে রূপালী ব্যাংক পবিপ্রবি শাখার মাধ্যমে মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণ চালু হয়। ঋণগ্রহীতারা শর্ত অনুযায়ী কিস্তি পরিশোধ করলেও অভিযোগ উঠেছে, ওই দুই কর্মকর্তা সেই টাকা জমা না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করেন।

সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ অডিটে হিসাবের গরমিল ধরা পড়লে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে অভিযুক্তরা ভুল স্বীকার করে ৩২ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নামও এ ঘটনায় এসেছে, যাঁরা ঋণ পরিশোধের ভুয়া রশিদ পেয়েছেন। এর মধ্যে উপ-রেজিস্ট্রার (প্ল্যানিং) মো. খাইরুল বাসার মিয়া, পরিবহন শাখার সেকশন অফিসার সবুর খান, হেলপার আবু জাফর, ফটোমেশিন অপারেটর শামীম খান, অডিট সেলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ফরিদা বেগম, অ্যাম্বুলেন্সচালক আলম ও বাজেট শাখার অফিস সহায়ক মাসুদ রয়েছেন।
ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট আবু ছালেহ মো. ইছা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এটি আত্মসাৎ নয়, হিসাবের গরমিল। শিগগিরই তা ঠিক হয়ে যাবে। কারও টাকা হারাবে না।” অপর অভিযুক্ত মো. রাজিব মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “আর্থিক অসামঞ্জস্যের কারণে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা টাকা উদ্ধারের কৌশল নিয়েছি। টাকা উদ্ধার হওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”