ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা:
স্পর্শ নিউজে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং নিউজ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন whatsapp নাম্বারে০১৭১৬-৭২৯৫৭৪ অথবা ইমেইল নাম্বারে refazbiswas@gmail.com স্পর্শ নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী দম্পতিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে কাস্টোডিয়ানসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
স্পর্শ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মোঃ নাঈম উদ্দিন সিরাজী
বিশেষ প্রতিনিধি,সিরাজগঞ্জ জেলা।

 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী দম্পতিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে কাস্টোডিয়ানসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী দম্পতিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে কাস্টোডিয়ানসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।

 

 

এ ঘটনায় ১১দিন পর বৃহস্পতিবার শাহজাদপুর আমলী আদালতে মামলাটি করেন শাহজাদপুর পৌর শহরের রূপপুর নতুনপাড়ার বাসিন্দা শাহনেওয়াজের স্ত্রী ছাবরিনা আক্তার সুইটি।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পেশকার আনোয়ার হোসেন।

মামলায় আসামিরা হলেন, কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান, গ্রন্থাগার পরিচালক শরীফুজ্জামান সরকার, বিদ্যুৎ ও বাগান পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, মালি শফিকুল ইসলাম, কাউন্টার ও বাগান পরিচালক মজিবুর রহমান, নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল মমিন, নুহ শেখ, বাবলু সরকার, আনিসুর রহমান ও রেজাউল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৮ জুন ২০২৫ ইং বাদী তার স্বামী শাহনেওয়াজ ও ভাতিজাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে ঘুরতে যান। প্রবেশের সময় টিকিটের টাকা দিলেও কাউন্টার থেকে কোনো টোকেন দেওয়া হয়নি।

পরে বের হওয়ার সময় টোকেন দেখাতে বললে বাদী জানায় তাকে কোনো টোকেন দেওয়া হয়নি। তখন আসামিরা গালিগালাজ শুরু করে।

বাধা দিলে কাছারি বাড়ির গেট বন্ধ করে কাস্টোডিয়ানের নির্দেশে শাহনেওয়াজকে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে মারধর করা হয়। ওই সময় ছাবরিনা আক্তারের শ্লীলতাহানি এবং তার গলায় থাকা সোনার চেইনও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

এরপর শাহনেওয়াজকে একটি কক্ষে আটকে রেখে আবারও মারধর এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়। পরে স্বজনরা এসে তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন।

এর আগে গত ১০ জুন এ ঘটনার প্রতিবাদে শাহজাদপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল থেকে কিছু মানুষ কাছারি বাড়িতে হা*মলা চালিয়ে অডিটোরিয়াম ভাঙচুর এবং কর্মীদের মারধর করে। তবে, কাছারি বাড়িতে অবস্থিত রবীন্দ্র যাদুঘরে কোন হামলা বা ভাংচুর করা হয়নি সেদিন। যাদুঘর অক্ষত রয়েছে।

এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করে; দুইদিন পর আবার তা খুলে দেওয়া হয়।

এছাড়া কাছারি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১১ জুন ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় এর মধ্যে যৌথবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এদিকে সঠিকভাবে তদন্ত করে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী দম্পতিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে কাস্টোডিয়ানসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা।

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

 

মোঃ নাঈম উদ্দিন সিরাজী
বিশেষ প্রতিনিধি,সিরাজগঞ্জ জেলা।

 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী দম্পতিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে কাস্টোডিয়ানসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী দম্পতিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে কাস্টোডিয়ানসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।

 

 

এ ঘটনায় ১১দিন পর বৃহস্পতিবার শাহজাদপুর আমলী আদালতে মামলাটি করেন শাহজাদপুর পৌর শহরের রূপপুর নতুনপাড়ার বাসিন্দা শাহনেওয়াজের স্ত্রী ছাবরিনা আক্তার সুইটি।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পেশকার আনোয়ার হোসেন।

মামলায় আসামিরা হলেন, কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান, গ্রন্থাগার পরিচালক শরীফুজ্জামান সরকার, বিদ্যুৎ ও বাগান পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, মালি শফিকুল ইসলাম, কাউন্টার ও বাগান পরিচালক মজিবুর রহমান, নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল মমিন, নুহ শেখ, বাবলু সরকার, আনিসুর রহমান ও রেজাউল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৮ জুন ২০২৫ ইং বাদী তার স্বামী শাহনেওয়াজ ও ভাতিজাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে ঘুরতে যান। প্রবেশের সময় টিকিটের টাকা দিলেও কাউন্টার থেকে কোনো টোকেন দেওয়া হয়নি।

পরে বের হওয়ার সময় টোকেন দেখাতে বললে বাদী জানায় তাকে কোনো টোকেন দেওয়া হয়নি। তখন আসামিরা গালিগালাজ শুরু করে।

বাধা দিলে কাছারি বাড়ির গেট বন্ধ করে কাস্টোডিয়ানের নির্দেশে শাহনেওয়াজকে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে মারধর করা হয়। ওই সময় ছাবরিনা আক্তারের শ্লীলতাহানি এবং তার গলায় থাকা সোনার চেইনও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

এরপর শাহনেওয়াজকে একটি কক্ষে আটকে রেখে আবারও মারধর এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়। পরে স্বজনরা এসে তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন।

এর আগে গত ১০ জুন এ ঘটনার প্রতিবাদে শাহজাদপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল থেকে কিছু মানুষ কাছারি বাড়িতে হা*মলা চালিয়ে অডিটোরিয়াম ভাঙচুর এবং কর্মীদের মারধর করে। তবে, কাছারি বাড়িতে অবস্থিত রবীন্দ্র যাদুঘরে কোন হামলা বা ভাংচুর করা হয়নি সেদিন। যাদুঘর অক্ষত রয়েছে।

এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করে; দুইদিন পর আবার তা খুলে দেওয়া হয়।

এছাড়া কাছারি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১১ জুন ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় এর মধ্যে যৌথবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এদিকে সঠিকভাবে তদন্ত করে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।