ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা:
স্পর্শ নিউজে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং নিউজ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন whatsapp নাম্বারে০১৭১৬-৭২৯৫৭৪ অথবা ইমেইল নাম্বারে refazbiswas@gmail.com স্পর্শ নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

আমতলীতে বিএনপির সভা শেষে দুই পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
স্পর্শ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমতলীতে বিএনপির সভা শেষে দুই পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১২

মানাফি ইসলাম নাজমুল (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলীতে সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি তে
বরগুনার আমতলীতে বিএনপির প্রস্তুতি সভা শেষে দুই পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ তালুকদার বাজারে এই সংঘর্ষ ঘটে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জুলাই চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল হবে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার তালুকদার বাজারের একটি মাদ্রাসায় প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। এতে ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
সভায় ছালাম মল্লিক ও হাবিব বয়াতি ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি পদ দাবি করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে হাবিব ভাতিজা সোহাগ বয়াতিকে ছালামের ছেলে শাহীন মল্লিক মারধর করেন। খবর পেয়ে সোহাগের বাবা ইদ্রিস বয়াতি কৈফিয়ত চাইতে ছালামে কাছে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে উভয় পক্ষ হাসপাতালে যাওয়ার পথে পুনরায় বাজারের চৌরাস্তায় সংঘর্ষ ঘটে।
দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১২ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা লুনা বিনতে হক বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সভাপতি পদপ্রার্থী হাবিব বলেন, ‘ছালাম মল্লিক ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করেছেন। এখন তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কমিটির পদ দাবি করছেন। আমার ভাইয়ের ছেলে সোহাগ বয়াতি এর প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ভাইয়ের ছেলেকে ছালাম মল্লিকের ছেলে শাহীন মল্লিক মারধর করেছে। এর জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। মারধরে আমার পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে।’
জানতে চাইলে ছালাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কথা বলায় আমার ছেলের সঙ্গে হাসান বয়াতির ভাইয়ের ছেলের কথা-কাটাকাটি হয়েছে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আমার পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছে।’
এ নিয়ে কথা হলে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব তুহিন মৃধা বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আমতলীতে বিএনপির সভা শেষে দুই পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১২

আপডেট সময় : ১০:১৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

আমতলীতে বিএনপির সভা শেষে দুই পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১২

মানাফি ইসলাম নাজমুল (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলীতে সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি তে
বরগুনার আমতলীতে বিএনপির প্রস্তুতি সভা শেষে দুই পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ তালুকদার বাজারে এই সংঘর্ষ ঘটে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জুলাই চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল হবে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার তালুকদার বাজারের একটি মাদ্রাসায় প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। এতে ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
সভায় ছালাম মল্লিক ও হাবিব বয়াতি ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি পদ দাবি করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে হাবিব ভাতিজা সোহাগ বয়াতিকে ছালামের ছেলে শাহীন মল্লিক মারধর করেন। খবর পেয়ে সোহাগের বাবা ইদ্রিস বয়াতি কৈফিয়ত চাইতে ছালামে কাছে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে উভয় পক্ষ হাসপাতালে যাওয়ার পথে পুনরায় বাজারের চৌরাস্তায় সংঘর্ষ ঘটে।
দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১২ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা লুনা বিনতে হক বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সভাপতি পদপ্রার্থী হাবিব বলেন, ‘ছালাম মল্লিক ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করেছেন। এখন তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কমিটির পদ দাবি করছেন। আমার ভাইয়ের ছেলে সোহাগ বয়াতি এর প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ভাইয়ের ছেলেকে ছালাম মল্লিকের ছেলে শাহীন মল্লিক মারধর করেছে। এর জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। মারধরে আমার পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে।’
জানতে চাইলে ছালাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কথা বলায় আমার ছেলের সঙ্গে হাসান বয়াতির ভাইয়ের ছেলের কথা-কাটাকাটি হয়েছে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আমার পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছে।’
এ নিয়ে কথা হলে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব তুহিন মৃধা বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’