স্কুল ছাত্রকে ধর্ষণ মামলা নিতে গড়িমসি অভিযোগ পরিবারের

- আপডেট সময় : ০১:৪৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩২ বার পড়া হয়েছে
স্কুল ছাত্রকে ধর্ষণ মামলা নিতে গড়িমসি অভিযোগ পরিবারের
পাবনার ঈশ্বরদীতে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে এক স্কুল ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন।
শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচরা স্কুলপাড়া গ্রামে নির্জন একটি লিচু বাগানে এ ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে একই গ্রামের আব্দুর রহিম (৬০) নামে এক অটোচালককে এজাহারে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুর রহিম বেশ কিছুদিন ধরে সুযোগ পেলেই নানান উছিলায় তার শিশুপুত্রকে কাছে টেনে আদর সোহাগ করত। এরই মধ্যে শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের দিকে তার শিশুসন্তান বাড়ির নিকটবর্তী একটি দোকানে ডিম কিনতে যায়। এই সুযোগে আব্দুর রহিম তার শিশুপুত্রকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে অদূরে নির্জন একটি লিচু বাগানে নিয়ে যায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ (বলাৎকার) করে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে সবকিছু খুলে বলে। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় তিনি শুক্রবার রাতেই ঈশ্বরদী থানায় লিখিত এজাহার জমা দেন।
এদিকে মুঠোফোনে শিশুটির বাবা জানান, ঘটনার পর থেকে তার শিশুপুত্র মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। কারও সঙ্গে সে খুব একটা কথা বলছে না, বাড়ির বাইরে খেলতেও যাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, এজাহার জমা দেওয়ার একদিন পরেও অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে আইনের আওতায় আনা হয়নি।গতকাল পুলিশ এসে তন্দত করে গেছে বরং এজাহার তুলে না নিলে তাঁকে ‘দেখে নেওয়ার হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এতে তিনি আতঙ্কের মধ্যে আছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির মন্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করে হলেও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর নূর জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তিনি হাতে পেয়েছেন। তদন্তের জন্য রাতেই একজন পুলিশ অফিসারকে নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরপরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।