ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা:
স্পর্শ নিউজে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং নিউজ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন whatsapp নাম্বারে০১৭১৬-৭২৯৫৭৪ অথবা ইমেইল নাম্বারে refazbiswas@gmail.com স্পর্শ নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
স্পর্শ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রংপুরে প্রতিবন্ধী তরুণদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে অন্তর্ভুক্তি কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

মাসফিকুল হাসান,বেরোবি প্রতিনিধি :

‎“প্রতিবন্ধী তরুণদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে উন্মুক্ত অমিত সম্ভাবনা ও শক্তি গড়ে তুলবে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্যখাত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অপরাজেয় তারুণ্য উদ্যোগে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধী তরুণদের নিয়ে অন্তর্ভুক্তি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ আবু সাঈদ চত্বরে অবস্থিত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কর্মসূচি ( আরএইচস্টেপ)-এর অপরাজেয় তারুণ্য কার্যালয়ে প্রতিবন্ধী নিয়ে কর্মশালার আয়োজন হয়।

‎ এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অপরাজেয় তারুণ্য (ইউওয়াইপি প্রজেক্ট প্রজেক্ট অফিসার অনিমেষ রায়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবন্ধী সাহায্য ও সেবা কেন্দ্র, রংপুরের ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট জিনিয়া পারভীন,  পরশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মোঃ আতিয়ার রহমান এবং কালের কণ্ঠের বেরোবি প্রতিনিধি আবুল খায়ের জায়ীদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অপরাজেয় তারুণ্য, রংপুর-এর ইয়ুথ অফিসার স্বর্ণালী আচার্য।

‎অনুষ্ঠানে  প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে প্রতিবন্ধী তরুণদের বঞ্চনা ও বৈষম্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবাখাত গড়ে তুলতে করণীয় তুলে ধরা হয়। পরে অংশগ্রহণকারীরা স্বাস্থ্যসেবায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবন্ধকতা ও নিজস্ব দাবি উপস্থাপন করেন। তাদের দাবির মধ্যে ছিল বিনামূল্যে বা ভর্তুকিমূল্যে সেবা প্রদান, সচেতনতা ক্যাম্পেইন বৃদ্ধি এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।

‎অনুষ্ঠানের অতিথি জনাব জিনিয়া পারভীন বলেন, স্বাস্থ্যব্যবস্থার যেকোনো নীতি বা পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী তরুণদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জীবনের প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জগুলোকে বোঝা ছাড়া টেকসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলেই স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে সার্বজনীন এবং সবার জন্য সমানভাবে গ্রহণযোগ্য করা যাবে।

‎জনাব মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, “প্রতিবন্ধী তরুণরাই সবচেয়ে ভালো জানেন- তাদের প্রয়োজন কোথায় এবং কেমন সেবা তাদের জন্য কার্যকর হবে। তরুণদের সক্ষমতাকে কাজে লাগানো হলে সমাজে প্রতিবন্ধীতা আর কোনো বাধা থাকবে না, বরং তা একেকটি সম্ভাবনায় রূপ নেবে। এজন্য তরুণদের উচিত তাদের সমস্যা এবং তার নিরিখে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রণয়নে যথাসম্ভব অংশগ্রহণ করা।”

‎জনাব মোঃ আবুল খায়ের জায়ীদ বলেন, “আমরা আমাদের চারপাশে তাকালেই প্রতিবন্ধীদের বঞ্চনার জায়গাগুলো দেখতে পাই। স্বাস্থ্যখাতে তাদের প্রতি বৈষম্যের জায়গাগুলো আরও তীব্র। এই বৈষম্যগুলো নিরসনে অপরাজেয় তারুণ্যের মত। অন্যদের এগিয়ে আসা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”

‎অনুষ্ঠানের শেষ অংশে অংশগ্রহণকারীদের হাতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সচেতনতার অংশ হিসেবে উপহার স্বরূপ স্যানিটারি প্যাড তুলে দেয়া হয়।  আরএইচস্টেপ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সংরক্ষণ এবং উন্নয়নে কাজ করছে। সংগঠনের লক্ষ্য হলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে বিশেষত দরিদ্র, অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়ন করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রংপুরে প্রতিবন্ধী তরুণদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে অন্তর্ভুক্তি কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

মাসফিকুল হাসান,বেরোবি প্রতিনিধি :

‎“প্রতিবন্ধী তরুণদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে উন্মুক্ত অমিত সম্ভাবনা ও শক্তি গড়ে তুলবে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্যখাত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অপরাজেয় তারুণ্য উদ্যোগে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধী তরুণদের নিয়ে অন্তর্ভুক্তি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ আবু সাঈদ চত্বরে অবস্থিত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কর্মসূচি ( আরএইচস্টেপ)-এর অপরাজেয় তারুণ্য কার্যালয়ে প্রতিবন্ধী নিয়ে কর্মশালার আয়োজন হয়।

‎ এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অপরাজেয় তারুণ্য (ইউওয়াইপি প্রজেক্ট প্রজেক্ট অফিসার অনিমেষ রায়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবন্ধী সাহায্য ও সেবা কেন্দ্র, রংপুরের ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট জিনিয়া পারভীন,  পরশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মোঃ আতিয়ার রহমান এবং কালের কণ্ঠের বেরোবি প্রতিনিধি আবুল খায়ের জায়ীদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অপরাজেয় তারুণ্য, রংপুর-এর ইয়ুথ অফিসার স্বর্ণালী আচার্য।

‎অনুষ্ঠানে  প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে প্রতিবন্ধী তরুণদের বঞ্চনা ও বৈষম্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবাখাত গড়ে তুলতে করণীয় তুলে ধরা হয়। পরে অংশগ্রহণকারীরা স্বাস্থ্যসেবায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবন্ধকতা ও নিজস্ব দাবি উপস্থাপন করেন। তাদের দাবির মধ্যে ছিল বিনামূল্যে বা ভর্তুকিমূল্যে সেবা প্রদান, সচেতনতা ক্যাম্পেইন বৃদ্ধি এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।

‎অনুষ্ঠানের অতিথি জনাব জিনিয়া পারভীন বলেন, স্বাস্থ্যব্যবস্থার যেকোনো নীতি বা পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী তরুণদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জীবনের প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জগুলোকে বোঝা ছাড়া টেকসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলেই স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে সার্বজনীন এবং সবার জন্য সমানভাবে গ্রহণযোগ্য করা যাবে।

‎জনাব মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, “প্রতিবন্ধী তরুণরাই সবচেয়ে ভালো জানেন- তাদের প্রয়োজন কোথায় এবং কেমন সেবা তাদের জন্য কার্যকর হবে। তরুণদের সক্ষমতাকে কাজে লাগানো হলে সমাজে প্রতিবন্ধীতা আর কোনো বাধা থাকবে না, বরং তা একেকটি সম্ভাবনায় রূপ নেবে। এজন্য তরুণদের উচিত তাদের সমস্যা এবং তার নিরিখে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রণয়নে যথাসম্ভব অংশগ্রহণ করা।”

‎জনাব মোঃ আবুল খায়ের জায়ীদ বলেন, “আমরা আমাদের চারপাশে তাকালেই প্রতিবন্ধীদের বঞ্চনার জায়গাগুলো দেখতে পাই। স্বাস্থ্যখাতে তাদের প্রতি বৈষম্যের জায়গাগুলো আরও তীব্র। এই বৈষম্যগুলো নিরসনে অপরাজেয় তারুণ্যের মত। অন্যদের এগিয়ে আসা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”

‎অনুষ্ঠানের শেষ অংশে অংশগ্রহণকারীদের হাতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সচেতনতার অংশ হিসেবে উপহার স্বরূপ স্যানিটারি প্যাড তুলে দেয়া হয়।  আরএইচস্টেপ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সংরক্ষণ এবং উন্নয়নে কাজ করছে। সংগঠনের লক্ষ্য হলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে বিশেষত দরিদ্র, অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়ন করা।