ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা:
স্পর্শ নিউজে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং নিউজ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন whatsapp নাম্বারে০১৭১৬-৭২৯৫৭৪ অথবা ইমেইল নাম্বারে refazbiswas@gmail.com স্পর্শ নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

মেয়াদোত্তীর্ণ কেক খেয়ে শিশু সহ ৫ সাংবাদিক অসুস্থ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
স্পর্শ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মেয়াদোত্তীর্ণ কেক খেয়ে শিশু সহ ৫ সাংবাদিক অসুস্থ

মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি।

নীলফামারীর ডোমারে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ছত্রাকযুক্ত কেক খেয়ে এক শিশু সহ পাঁচজন সাংবাদিক অসুস্থ হয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে ডোমার উপজেলা শহরের মামুন ক্লথ স্টোরে স্থানীয় সাংবাদিক আলমগীর হোসেনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কেকটি ডোমার বাজারের দত্ত সুইটস থেকে আনা হয়, যা সরবরাহ করেছিল দিনাজপুরের মাসুম বেকারী। কেক খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত পাঁচ সাংবাদিক ও একটি শিশু বমি করতে থাকেন। পরে দেখা যায়, কেকটি দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিজে সংরক্ষিত, ছত্রাক জন্মানো ও দুর্গন্ধযুক্ত ছিল। কেকের প্যাকেটে কোনো উৎপাদনের তারিখ বা মেয়াদও ছিল না। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলে বর্তমানে সবাই সুস্থ আছেন।

দত্ত সুইটসের ম্যানেজার জানান, মাসুম বেকারীর একজন সরবরাহকারী কেক এনে দেন। কেকের প্যাকেটে মেয়াদ না থাকা তাদের ভুল ছিল এবং ভবিষ্যতে এমন কেক বিক্রি করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। ঘটনার পর দোকানে থাকা মাসুম বেকারীর সব কেক ফেলে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও দত্ত সুইটস মেয়াদোত্তীর্ণ শিশু খাদ্য ‘কিন্ডার জয়’ বিক্রির জন্য জরিমানা গুনেছে। এছাড়া ভোক্তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

দত্ত সুইটসের মালিক রাজীব দত্ত বলেন, “আমার একজন আত্মীয় মারা গেছেন, আমি বর্তমানে বাইরে আছি। ফিরে এসে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলবো।”

মাসুম বেকারীর এস.আর রেজা বলেন, “এটা হয়তো অসাবধানতা বা অনিচ্ছাকৃত কারণে হয়েছে। দোকানদারেরা অনেক সময় আমাদের উৎপাদনের তারিখ দিতে নিষেধ করেন, কারণ ফ্রিজে রাখলে কেক দীর্ঘদিন ভালো থাকে। প্যাকেটে তারিখ থাকলে বিক্রি করতে সমস্যা হয়, তাই আমরা দিই না।”

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নীলফামারীর সহকারী পরিচালক শামসুল ইসলাম জানান, “ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মেয়াদোত্তীর্ণ কেক খেয়ে শিশু সহ ৫ সাংবাদিক অসুস্থ

আপডেট সময় : ০১:৪২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

মেয়াদোত্তীর্ণ কেক খেয়ে শিশু সহ ৫ সাংবাদিক অসুস্থ

মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি।

নীলফামারীর ডোমারে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ছত্রাকযুক্ত কেক খেয়ে এক শিশু সহ পাঁচজন সাংবাদিক অসুস্থ হয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে ডোমার উপজেলা শহরের মামুন ক্লথ স্টোরে স্থানীয় সাংবাদিক আলমগীর হোসেনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কেকটি ডোমার বাজারের দত্ত সুইটস থেকে আনা হয়, যা সরবরাহ করেছিল দিনাজপুরের মাসুম বেকারী। কেক খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত পাঁচ সাংবাদিক ও একটি শিশু বমি করতে থাকেন। পরে দেখা যায়, কেকটি দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিজে সংরক্ষিত, ছত্রাক জন্মানো ও দুর্গন্ধযুক্ত ছিল। কেকের প্যাকেটে কোনো উৎপাদনের তারিখ বা মেয়াদও ছিল না। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলে বর্তমানে সবাই সুস্থ আছেন।

দত্ত সুইটসের ম্যানেজার জানান, মাসুম বেকারীর একজন সরবরাহকারী কেক এনে দেন। কেকের প্যাকেটে মেয়াদ না থাকা তাদের ভুল ছিল এবং ভবিষ্যতে এমন কেক বিক্রি করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। ঘটনার পর দোকানে থাকা মাসুম বেকারীর সব কেক ফেলে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও দত্ত সুইটস মেয়াদোত্তীর্ণ শিশু খাদ্য ‘কিন্ডার জয়’ বিক্রির জন্য জরিমানা গুনেছে। এছাড়া ভোক্তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

দত্ত সুইটসের মালিক রাজীব দত্ত বলেন, “আমার একজন আত্মীয় মারা গেছেন, আমি বর্তমানে বাইরে আছি। ফিরে এসে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলবো।”

মাসুম বেকারীর এস.আর রেজা বলেন, “এটা হয়তো অসাবধানতা বা অনিচ্ছাকৃত কারণে হয়েছে। দোকানদারেরা অনেক সময় আমাদের উৎপাদনের তারিখ দিতে নিষেধ করেন, কারণ ফ্রিজে রাখলে কেক দীর্ঘদিন ভালো থাকে। প্যাকেটে তারিখ থাকলে বিক্রি করতে সমস্যা হয়, তাই আমরা দিই না।”

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নীলফামারীর সহকারী পরিচালক শামসুল ইসলাম জানান, “ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”