ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা:
স্পর্শ নিউজে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং নিউজ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন whatsapp নাম্বারে০১৭১৬-৭২৯৫৭৪ অথবা ইমেইল নাম্বারে refazbiswas@gmail.com স্পর্শ নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

হারুন খান হত্যা মামলার আসামি দুবাই থেকে গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
স্পর্শ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হারুন খান হত্যা মামলার আসামি দুবাই থেকে গ্রেপ্তার

 

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ

নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মহসিন মিয়াকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দুবাই থেকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর নরসিংদীর পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) এস এম মোস্তাইন হোসেন এই তথ্য জানান।

এর আগে গত ২০ জুলাই তাকে গ্রেপ্তারের পর ২১ জুলাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় মহসিন মিয়া। গ্রেপ্তার মহসিন মিয়া শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মৃত আয়েছ আলীর ছেলে।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বলেন, ২০২৩ সালের ২৩ জুন হতে শিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ খান হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে পিবিআই। এরই মধ্যে পালিয়ে দুবাই চলে যায় অন্যতম আসামি মহসিন মিয়া। পরে ইন্টারপোলের রেড এলার্টের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ মহসিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। দুবাই পুলিশের বার্তা পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের একটি দল গত রোববার (২০ জুলাই) মহসিন মিয়াকে দেশে নিয়ে আসে। পরদিন ২১ জুলাই নরসিংদীর আদালতে নেয়া হলে মহসিন মিয়া হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এ নিয়ে আলোচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যা মামলাটির ১৭ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর শিবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে নিজ বাসায় ঢুকে গুলি করে পালিয়ে যায় আসামি মহসিন মিয়া সহ আরো দু’জন। গুরুতর আহত অবস্থায় হারুনুর রশিদ খানকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকার ৯৪ দিন পর ৩১ মে মারা যান বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ হারুনুর রশিদ খান। মৃত্যুর আগেই এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হারুন খান হত্যা মামলার আসামি দুবাই থেকে গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০২:১৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

হারুন খান হত্যা মামলার আসামি দুবাই থেকে গ্রেপ্তার

 

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ

নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মহসিন মিয়াকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দুবাই থেকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর নরসিংদীর পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) এস এম মোস্তাইন হোসেন এই তথ্য জানান।

এর আগে গত ২০ জুলাই তাকে গ্রেপ্তারের পর ২১ জুলাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় মহসিন মিয়া। গ্রেপ্তার মহসিন মিয়া শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মৃত আয়েছ আলীর ছেলে।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বলেন, ২০২৩ সালের ২৩ জুন হতে শিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ খান হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে পিবিআই। এরই মধ্যে পালিয়ে দুবাই চলে যায় অন্যতম আসামি মহসিন মিয়া। পরে ইন্টারপোলের রেড এলার্টের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ মহসিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। দুবাই পুলিশের বার্তা পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের একটি দল গত রোববার (২০ জুলাই) মহসিন মিয়াকে দেশে নিয়ে আসে। পরদিন ২১ জুলাই নরসিংদীর আদালতে নেয়া হলে মহসিন মিয়া হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এ নিয়ে আলোচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যা মামলাটির ১৭ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর শিবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে নিজ বাসায় ঢুকে গুলি করে পালিয়ে যায় আসামি মহসিন মিয়া সহ আরো দু’জন। গুরুতর আহত অবস্থায় হারুনুর রশিদ খানকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকার ৯৪ দিন পর ৩১ মে মারা যান বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ হারুনুর রশিদ খান। মৃত্যুর আগেই এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।