ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা:
স্পর্শ নিউজে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং নিউজ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন whatsapp নাম্বারে০১৭১৬-৭২৯৫৭৪ অথবা ইমেইল নাম্বারে refazbiswas@gmail.com স্পর্শ নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

শিক্ষিকার ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
স্পর্শ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিক্ষিকার ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ

মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি।

নীলফামারীর সৈয়দপুরের নয়াটোলা এলাকার একটি বাসা থেকে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সৈয়দপুর তুলশীরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রহিলা বেগমের বাড়িতে
এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে চুরি করার সময় দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত বৃদ্ধা তার দূর সম্পর্কের বোন ও গৃহপরিচারিকা বলে স্থানীয়রা জানায়।

নিহত শামসুন্নাহার বেগম (৭৫) দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার দেবীগঞ্জ এলাকার ডাঙারহাট ফকিরপাড়ার মৃত আজাহার আলীর স্ত্রী।

সহকারী শিক্ষিকা রহিলা বেগম বলেন, শামসুন্নাহার দীর্ঘদিন ধরে আমার বাসায় থাকেন। আমি প্রতিদিনের মতো সকালে স্কুলে যাই। আপা (মৃত বৃদ্ধা) একাই বাসায় ছিলেন। দুপুরে টিফিনের সময় বাসায় এসে দরজায় নক করলেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালায় নক করি। কিন্তু তাতেও কোনো সাড়াশব্দ না পেলে পাশের বাসার লোকজনকে ডেকে আনি। এসময় বাইরের থেকে দরজায় সিটকিনি লাগানো দেখতে পাই।

রহিলা বেগম আরও বলেন, আমরা দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দেখি মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আপা। মাথায় বড় ধরনের জখম। জানি না কীভাবে এমন হলো? কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাল? তবে বাসার সব আসবাবপত্র তছনছ করা হয়েছে এবং নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও এলইডি টিভি চুরি হয়েছে।

নিহতের ছেলে সামসুল বলেন, সকাল ১১টার দিকে মায়ের সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে। এসময় তিনি শরীর ভালো নয় বলে জানান। তখন তাকে বাড়িতে চলে আসতে বলি। এতে মা বলে আগামী সোমবার বাড়িতে আসবেন। কিন্তু দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মোবাইলে জানানো হয় মা মারা গেছে। ঘটনাস্থলে এসে মাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পারি তবে এখনো লাশ দেখতে দেয়নি পুলিশ।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফইম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশসহ বাসাটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। বিকাল সাড়ে ৪টায় সিআইডির ক্রাইম সিন টিম
রংপুর থেকে আসে। তারা আসার পর তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারীর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শত শত মানুষ ভিড় জমিয়েছে ঘটনাস্থলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শিক্ষিকার ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ

আপডেট সময় : ০৫:০১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

শিক্ষিকার ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ

মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি।

নীলফামারীর সৈয়দপুরের নয়াটোলা এলাকার একটি বাসা থেকে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সৈয়দপুর তুলশীরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রহিলা বেগমের বাড়িতে
এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে চুরি করার সময় দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত বৃদ্ধা তার দূর সম্পর্কের বোন ও গৃহপরিচারিকা বলে স্থানীয়রা জানায়।

নিহত শামসুন্নাহার বেগম (৭৫) দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার দেবীগঞ্জ এলাকার ডাঙারহাট ফকিরপাড়ার মৃত আজাহার আলীর স্ত্রী।

সহকারী শিক্ষিকা রহিলা বেগম বলেন, শামসুন্নাহার দীর্ঘদিন ধরে আমার বাসায় থাকেন। আমি প্রতিদিনের মতো সকালে স্কুলে যাই। আপা (মৃত বৃদ্ধা) একাই বাসায় ছিলেন। দুপুরে টিফিনের সময় বাসায় এসে দরজায় নক করলেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালায় নক করি। কিন্তু তাতেও কোনো সাড়াশব্দ না পেলে পাশের বাসার লোকজনকে ডেকে আনি। এসময় বাইরের থেকে দরজায় সিটকিনি লাগানো দেখতে পাই।

রহিলা বেগম আরও বলেন, আমরা দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দেখি মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আপা। মাথায় বড় ধরনের জখম। জানি না কীভাবে এমন হলো? কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাল? তবে বাসার সব আসবাবপত্র তছনছ করা হয়েছে এবং নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও এলইডি টিভি চুরি হয়েছে।

নিহতের ছেলে সামসুল বলেন, সকাল ১১টার দিকে মায়ের সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে। এসময় তিনি শরীর ভালো নয় বলে জানান। তখন তাকে বাড়িতে চলে আসতে বলি। এতে মা বলে আগামী সোমবার বাড়িতে আসবেন। কিন্তু দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মোবাইলে জানানো হয় মা মারা গেছে। ঘটনাস্থলে এসে মাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পারি তবে এখনো লাশ দেখতে দেয়নি পুলিশ।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফইম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশসহ বাসাটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। বিকাল সাড়ে ৪টায় সিআইডির ক্রাইম সিন টিম
রংপুর থেকে আসে। তারা আসার পর তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারীর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শত শত মানুষ ভিড় জমিয়েছে ঘটনাস্থলে।