ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঘোষনা:
স্পর্শ নিউজে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং নিউজ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন whatsapp নাম্বারে০১৭১৬-৭২৯৫৭৪ অথবা ইমেইল নাম্বারে refazbiswas@gmail.com স্পর্শ নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে
স্পর্শ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

—————————–আজ কালো দিবস————————-
সেলিম আহমেদ: ২০১৯ সালের ৩০ শে জুন এই দিনে ফ্যাসিস্ট সরকারের দেয়া ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ঈশ্বরদী বিএনপির ৫২ জন নেতা কর্মীর জামিন বাতিল করে জেলখানাতে প্রেরণ করে। এরপর ৩রা জুলাই ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন এবং ১০ বছর করে প্রত্যেককে সাজা প্রদান করেন। পাবনা জজ কোর্টের তৎকালীন বিচারক রুস্তম আলী নিজে বাঁচার জন্য বিএনপি’র এই সমস্ত নেতা কর্মীদেরকে প্রহসনমূলক ফরমায়েশি রায় প্রদান করেন। সেই রায়ের ভিত্তিতে আমরা দির্ঘ পাঁচ বছর তিন মাস ১৩ দিন জেল কারাগারের অন্ধকার কুঠিরে অন্তর্নিহিত ছিলাম। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আরও ছয় মাস বেশি জেল খাটেন। তাই এই দিনটি আমাদের কাছে কালো দিবস হিসাবে আখ্যায়িত। আমাদের জীবন থেকে ঝরে গেছে দির্ঘ সময়। পরিবারের কাছ থেকে অনেক দূরে ছিলাম আমরা। মহান রাব্বুল আলামিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মাধ্যমে আমাদেরকে অন্ধকার কুঠির থেকে বাহিরে আসার পথ সুগম করেছেন। ৩০ জুন পাবনা জেল কারাগারে প্রবেশের পর জানতে পারলাম জজ রুস্তম আলী ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ এবং নারী লোভী। তার কৃতকর্মের জন্য উকিল বারের আইনজীবীরা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট বরাবর একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপেক্ষিতে তাকে শোকজ করা হয়। আমাদের মামলাটি একজন নারী বিচারকের কাছে বিচারাধীন ছিল। আমরা সকলে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলাম। মহিলা জজ ছুটিতে থাকায় এই সুযোগে নিজে বাঁচার জন্য সরকারি দলের আইনজীবীদের কথামতো আমাদেরকে মিথ্যে মামলায় ফরমায়েসী রায় প্রদান করেন। পাবনা জেল কারাগারে এক সপ্তাহ থাকার পর তৎকালীন ভোট চোর এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স, ভোট চোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনসহ পাবনা জেলার আওয়ামী লীগের উচ্চপদস্থ নেতারা জেল সুপারকে অনুরোধ করেন আমাদেরকে রাজশাহী পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা নাকি পাবনা জেল কারাগারে থাকলে ক্ষমতার অপব্যবহার করব। তিনারা ক্ষমতাসীন দলের আর আমরা নির্যাতিত বিরোধী দলের। আমরা তাহলে ক্ষমতার অপব্যবহার কিভাবে করব। এরপর আমাদের সকলকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ কষ্টে কাটতে থাকে আমাদের দিনগুলো। খাবারের ঠিক নেই, ঘুমানোর ঠিক নেই, গোসলের ঠিক নেই, মন খুলে প্রাণ খুলে দু’চারটা কথা বলার মত পরিবেশও নেই। রাজশাহী গেলেও আমাদেরকে মানসিক চাপে সব সময় রাখা হতো। কারণ গোটা বাংলাদেশের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সরকারের নিয়ন্ত্রনে ছিল। তোষামোদ করতে পারলেই পদোন্নতি। এই ভেবে জেলার, জেল সুপার, ডিআইজি এবং আইজিপ্রিজন আমাদের মানবাধিকার লংঘন করেছে। আমাদের মৌলিক অধিকারকে তারা হরণ করেছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। আজ আমরা মুক্ত স্বাধীন। তবে ওইদিনের কথা কখনোই ভোলা যায় না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে রাতের ভোট করা ভোট চোর শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে না গেলে হয়তো আমাদের অন্ধকার কুঠিরেই থাকতে হতো। আল্লাহ বলেছেন, আমি ছাড় দেই কিন্তু কাউকে ছেড়ে দেই না। তার প্রমাণ আমরা নির্যাতিত ৪৭ জন নেতাকর্মী। আল্লাহর কৃপায় ওই অন্ধকার কুঠির থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছি। কিন্তু স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরতে পারতেন না। কারণ হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছেন শেখ হাসিনা। লক্ষ লক্ষ বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের জেল কারাগারে বিনা অন্যায় ভাবে আটকে রেখেছিল । তিনি মুখে বলতেন এক আর কাজে করতেন আরেক রকম। তিনার আশপাশে থাকা চামচারা বলে বেড়াতেন প্রধানমন্ত্রী নাকি তাহাজ্জত নামাজ পড়েন। যে মানুষটা তাহাজ্জুত নামাজ পড়েন সে কিভাবে মিথ্যের বলি আওরাতেন। হিংসুটে ওই মহিলা শুধুমাত্র নিজেরটাই বুঝতেন। দেশের মানুষের জন্য কখনোই ভাববেন না। শেখ হাসিনা যখন ঈশ্বরদী প্লাটফর্মে ট্রেন নিয়ে প্রবেশ করেন এবং নির্বিঘ্নে প্ল্যাটফর্মে বক্তব্য দিয়ে সৈয়দপুরে চলে যান। সে সময় ঈশ্বরদী রেল জংশন এলাকায় কোন প্রকার বোমাবাজি কিংবা গুলি হয়নি। তৎকালীন স্টেশন মাস্টার ওই গাড়ির পরিচালক (গার্ড) তাদের জবানবন্দিতে বলে গেছেন শেখ হাসিনা নির্বিঘ্নে নিরাপদে বক্তব্য দিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু ঈশ্বরদীর আওয়ামী লীগের কিছু অতি উৎসাহীত নেতা মিথ্যে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন আমাদের নামে। শেখ হাসিনাও মাঝে মধ্যেই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে ঈশ্বরদীতে তার ট্রেন বহরে বিএনপি নেতা কর্মীরা হামলা করেছেন কথাগুলো বলে বেড়াতেন। তিনি কত সুন্দর ভাবে বলতেন ওইদিন আমি মরেও যেতে পারতাম। শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে থাকা যাত্রী কিংবা সাধারণ মানুষ ওই মামলায় সাক্ষী নেই। যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা সকলেই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাকর্মী। সেদিন বেহায়া শেখ হাসিনার সাথে সফর সঙ্গী ছিলেন একজন সাংবাদিক। তিনি তার বইয়ে লিখেছিলেন শেখ হাসিনার সাথে থাকা সিকিউরিটিরা ঘুমিয়ে পড়ায় ট্রেন থেকে দুটি ফাঁকা গুলি ছোরা হয়। ওই বইটির নাম ছিল আমার ফাঁসি চাই। শেখ হাসিনা নিজেকে এত প্রভাবশালী মনে করতেন তাই তিনি বিশ্বের কাউকেই তোয়াক্কা করতেন না। কারণ দেশের সকল প্রশাসন তার কব্জায় থাকায় ৪১সাল পর্যন্ত জোরপূর্বক তিনি ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তার সেই আশা আল্লাহ তাআলা পূরণ করেননি। গোটা দেশের নির্যাতিত মানুষ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্তনাদ এবং চোখের পানির মূল্য দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা। দেশ এখন নিরাপদ দেশের জনগণ তারাও নিরাপদ। যারা বলেছিলেন খেলা হবে খেলা হবে তারা এখন মাঠে নেই। কোথায় পালিয়ে গেছেন সেটাও জনগণ জানে না। দির্ঘদিন কারা ভোগের পর মায়ের কোলে ফিরে আশায় আন্দোলনকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই সাথে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া প্রকাশ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আপডেট সময় : ০৪:২২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

—————————–আজ কালো দিবস————————-
সেলিম আহমেদ: ২০১৯ সালের ৩০ শে জুন এই দিনে ফ্যাসিস্ট সরকারের দেয়া ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ঈশ্বরদী বিএনপির ৫২ জন নেতা কর্মীর জামিন বাতিল করে জেলখানাতে প্রেরণ করে। এরপর ৩রা জুলাই ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন এবং ১০ বছর করে প্রত্যেককে সাজা প্রদান করেন। পাবনা জজ কোর্টের তৎকালীন বিচারক রুস্তম আলী নিজে বাঁচার জন্য বিএনপি’র এই সমস্ত নেতা কর্মীদেরকে প্রহসনমূলক ফরমায়েশি রায় প্রদান করেন। সেই রায়ের ভিত্তিতে আমরা দির্ঘ পাঁচ বছর তিন মাস ১৩ দিন জেল কারাগারের অন্ধকার কুঠিরে অন্তর্নিহিত ছিলাম। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আরও ছয় মাস বেশি জেল খাটেন। তাই এই দিনটি আমাদের কাছে কালো দিবস হিসাবে আখ্যায়িত। আমাদের জীবন থেকে ঝরে গেছে দির্ঘ সময়। পরিবারের কাছ থেকে অনেক দূরে ছিলাম আমরা। মহান রাব্বুল আলামিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মাধ্যমে আমাদেরকে অন্ধকার কুঠির থেকে বাহিরে আসার পথ সুগম করেছেন। ৩০ জুন পাবনা জেল কারাগারে প্রবেশের পর জানতে পারলাম জজ রুস্তম আলী ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ এবং নারী লোভী। তার কৃতকর্মের জন্য উকিল বারের আইনজীবীরা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট বরাবর একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপেক্ষিতে তাকে শোকজ করা হয়। আমাদের মামলাটি একজন নারী বিচারকের কাছে বিচারাধীন ছিল। আমরা সকলে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলাম। মহিলা জজ ছুটিতে থাকায় এই সুযোগে নিজে বাঁচার জন্য সরকারি দলের আইনজীবীদের কথামতো আমাদেরকে মিথ্যে মামলায় ফরমায়েসী রায় প্রদান করেন। পাবনা জেল কারাগারে এক সপ্তাহ থাকার পর তৎকালীন ভোট চোর এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স, ভোট চোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনসহ পাবনা জেলার আওয়ামী লীগের উচ্চপদস্থ নেতারা জেল সুপারকে অনুরোধ করেন আমাদেরকে রাজশাহী পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা নাকি পাবনা জেল কারাগারে থাকলে ক্ষমতার অপব্যবহার করব। তিনারা ক্ষমতাসীন দলের আর আমরা নির্যাতিত বিরোধী দলের। আমরা তাহলে ক্ষমতার অপব্যবহার কিভাবে করব। এরপর আমাদের সকলকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ কষ্টে কাটতে থাকে আমাদের দিনগুলো। খাবারের ঠিক নেই, ঘুমানোর ঠিক নেই, গোসলের ঠিক নেই, মন খুলে প্রাণ খুলে দু’চারটা কথা বলার মত পরিবেশও নেই। রাজশাহী গেলেও আমাদেরকে মানসিক চাপে সব সময় রাখা হতো। কারণ গোটা বাংলাদেশের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সরকারের নিয়ন্ত্রনে ছিল। তোষামোদ করতে পারলেই পদোন্নতি। এই ভেবে জেলার, জেল সুপার, ডিআইজি এবং আইজিপ্রিজন আমাদের মানবাধিকার লংঘন করেছে। আমাদের মৌলিক অধিকারকে তারা হরণ করেছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। আজ আমরা মুক্ত স্বাধীন। তবে ওইদিনের কথা কখনোই ভোলা যায় না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে রাতের ভোট করা ভোট চোর শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে না গেলে হয়তো আমাদের অন্ধকার কুঠিরেই থাকতে হতো। আল্লাহ বলেছেন, আমি ছাড় দেই কিন্তু কাউকে ছেড়ে দেই না। তার প্রমাণ আমরা নির্যাতিত ৪৭ জন নেতাকর্মী। আল্লাহর কৃপায় ওই অন্ধকার কুঠির থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছি। কিন্তু স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরতে পারতেন না। কারণ হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছেন শেখ হাসিনা। লক্ষ লক্ষ বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের জেল কারাগারে বিনা অন্যায় ভাবে আটকে রেখেছিল । তিনি মুখে বলতেন এক আর কাজে করতেন আরেক রকম। তিনার আশপাশে থাকা চামচারা বলে বেড়াতেন প্রধানমন্ত্রী নাকি তাহাজ্জত নামাজ পড়েন। যে মানুষটা তাহাজ্জুত নামাজ পড়েন সে কিভাবে মিথ্যের বলি আওরাতেন। হিংসুটে ওই মহিলা শুধুমাত্র নিজেরটাই বুঝতেন। দেশের মানুষের জন্য কখনোই ভাববেন না। শেখ হাসিনা যখন ঈশ্বরদী প্লাটফর্মে ট্রেন নিয়ে প্রবেশ করেন এবং নির্বিঘ্নে প্ল্যাটফর্মে বক্তব্য দিয়ে সৈয়দপুরে চলে যান। সে সময় ঈশ্বরদী রেল জংশন এলাকায় কোন প্রকার বোমাবাজি কিংবা গুলি হয়নি। তৎকালীন স্টেশন মাস্টার ওই গাড়ির পরিচালক (গার্ড) তাদের জবানবন্দিতে বলে গেছেন শেখ হাসিনা নির্বিঘ্নে নিরাপদে বক্তব্য দিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু ঈশ্বরদীর আওয়ামী লীগের কিছু অতি উৎসাহীত নেতা মিথ্যে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন আমাদের নামে। শেখ হাসিনাও মাঝে মধ্যেই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে ঈশ্বরদীতে তার ট্রেন বহরে বিএনপি নেতা কর্মীরা হামলা করেছেন কথাগুলো বলে বেড়াতেন। তিনি কত সুন্দর ভাবে বলতেন ওইদিন আমি মরেও যেতে পারতাম। শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে থাকা যাত্রী কিংবা সাধারণ মানুষ ওই মামলায় সাক্ষী নেই। যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা সকলেই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাকর্মী। সেদিন বেহায়া শেখ হাসিনার সাথে সফর সঙ্গী ছিলেন একজন সাংবাদিক। তিনি তার বইয়ে লিখেছিলেন শেখ হাসিনার সাথে থাকা সিকিউরিটিরা ঘুমিয়ে পড়ায় ট্রেন থেকে দুটি ফাঁকা গুলি ছোরা হয়। ওই বইটির নাম ছিল আমার ফাঁসি চাই। শেখ হাসিনা নিজেকে এত প্রভাবশালী মনে করতেন তাই তিনি বিশ্বের কাউকেই তোয়াক্কা করতেন না। কারণ দেশের সকল প্রশাসন তার কব্জায় থাকায় ৪১সাল পর্যন্ত জোরপূর্বক তিনি ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তার সেই আশা আল্লাহ তাআলা পূরণ করেননি। গোটা দেশের নির্যাতিত মানুষ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্তনাদ এবং চোখের পানির মূল্য দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা। দেশ এখন নিরাপদ দেশের জনগণ তারাও নিরাপদ। যারা বলেছিলেন খেলা হবে খেলা হবে তারা এখন মাঠে নেই। কোথায় পালিয়ে গেছেন সেটাও জনগণ জানে না। দির্ঘদিন কারা ভোগের পর মায়ের কোলে ফিরে আশায় আন্দোলনকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই সাথে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া প্রকাশ করছি।