ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঘোষনা:
স্পর্শ নিউজে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এবং নিউজ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন whatsapp নাম্বারে০১৭১৬-৭২৯৫৭৪ অথবা ইমেইল নাম্বারে refazbiswas@gmail.com স্পর্শ নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

ঈশ্বরদীতে জাতীয় পদক প্রাপ্ত পোল্ট্রি খামারি রবিউলের সফলতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
স্পর্শ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঈশ্বরদীতে জাতীয় পদক প্রাপ্ত পোল্ট্রি খামারি রবিউলের সফলতা

সেলিম আহমেদ ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী সরদার পাড়া গ্রামের মৃত হাজী নকিম উদ্দিন সরদারের ছেলে রবিউল ইসলাম পোল্ট্রি খামার করে সফলতা অর্জন করেছেন। রবিউলের সফলতার খবর পেয়ে তাঁর খামারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ২০০৫ সালে পোল্ট্রি ব্যবসা শুরু করেন। ইতোমধ্যে তিনি জাতীয় পদকে ভুষিত হয়েছেন। সফলতা ও অর্থনৈতিক উন্নতি হয় এনিয়ে তিনি ভাবনা শুরু করেন।

রবিউল জানান, টিভি চ্যানেলে এবং খবরের কাগজে পোল্ট্রি খামার করে অনেকের সফলতা অর্জনের খবর পড়ে রবিউল সিদ্ধান্ত নেন পোল্ট্রি খামার করবেন। প্রথমে ১ হাজার মুরগির বাচ্চা দিয়ে পোল্ট্রি খামার শুরু করেন। ২০ বছর নিরলস পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তিনি আজ একজন সফল পোল্ট্রি খামারি। পোল্ট্রি খামারের পাশাপাশি, মাছ চাষ, ধান চাষ ও সবজি উৎপাদনের খামারও তিনি গড়ে তুলেছেন। খামার পরিচালনার শুরুর পর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি এখন শুধুই এগিয়ে চলেছেন সামনের দিকে।

রবিউল আরও জানান, প্রথমে ১ হাজার মুরগি পালন শুরু করেন। মুরগি পালন করে তিনি গোটা বছরের পারিবারের ডিমের ও মুরগির চাহিদা মিটানোর পর ডিম ও মুরগি বিক্রি করে বাড়তি কিছু আয় করতে থাকেন। বাড়তি আয়ের অর্থে খামারকে প্রসারিত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বর্তমানে তার খামারে ১০ হাজার মুরগি রয়েছে। এরমধ্যে ৭ হাজার মুরগি ডিম দেয়, বাকি গুলো ছোট বাচ্চা। বর্তমানে প্রতিদিন ৬ হাজার ৮’শ ডিম বিক্রি করে থাকেন। রবিউল জানান, পোল্ট্রি ও সবজি খামারে এখন ১৫ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। এরমধ্যে চারজন নারী ও দুইজন প্রতিবন্ধি শ্রমিকও রয়েছে।

হাজী নকিম উদ্দিন পোল্ট্রি খামারের স্বত্ত্বাধিকারি আলহাজ্ব রবিউল ইসলাম আরও বলেন, মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে পরিবেশ বান্ধব একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট তিনি তৈরী করেছেন। এই প্লান্ট থেকে পরিবারের রান্নার পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটি বাড়িতে বায়োগ্যাস সাপ্লাই দিয়েছেন। রবিউল দেশের অবহেলিত যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, গবাদি পশু পালন, নকশী কাঁথা, হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ সেন্টার গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি শিক্ষিত বেকার যুবকদের পোল্ট্রি খামার করার জন্য আহ্বান জানান।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আকলিমা খাতুন বলেন, রবিউল পোল্ট্রি খামার করে আজ সফল ও মডেল খামারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। রবিউল পোল্ট্রি খামার করে কিছুটা হলেও দেশের মুরগি ও ডিমের চাহিদা পূরণ করছেন। সেই সাথে দেশের মানুষের পুষ্টির যোগানও দিচ্ছেন। রবিউলের পোল্ট্রি খামারটি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঈশ্বরদীতে জাতীয় পদক প্রাপ্ত পোল্ট্রি খামারি রবিউলের সফলতা

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ঈশ্বরদীতে জাতীয় পদক প্রাপ্ত পোল্ট্রি খামারি রবিউলের সফলতা

সেলিম আহমেদ ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী সরদার পাড়া গ্রামের মৃত হাজী নকিম উদ্দিন সরদারের ছেলে রবিউল ইসলাম পোল্ট্রি খামার করে সফলতা অর্জন করেছেন। রবিউলের সফলতার খবর পেয়ে তাঁর খামারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ২০০৫ সালে পোল্ট্রি ব্যবসা শুরু করেন। ইতোমধ্যে তিনি জাতীয় পদকে ভুষিত হয়েছেন। সফলতা ও অর্থনৈতিক উন্নতি হয় এনিয়ে তিনি ভাবনা শুরু করেন।

রবিউল জানান, টিভি চ্যানেলে এবং খবরের কাগজে পোল্ট্রি খামার করে অনেকের সফলতা অর্জনের খবর পড়ে রবিউল সিদ্ধান্ত নেন পোল্ট্রি খামার করবেন। প্রথমে ১ হাজার মুরগির বাচ্চা দিয়ে পোল্ট্রি খামার শুরু করেন। ২০ বছর নিরলস পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তিনি আজ একজন সফল পোল্ট্রি খামারি। পোল্ট্রি খামারের পাশাপাশি, মাছ চাষ, ধান চাষ ও সবজি উৎপাদনের খামারও তিনি গড়ে তুলেছেন। খামার পরিচালনার শুরুর পর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি এখন শুধুই এগিয়ে চলেছেন সামনের দিকে।

রবিউল আরও জানান, প্রথমে ১ হাজার মুরগি পালন শুরু করেন। মুরগি পালন করে তিনি গোটা বছরের পারিবারের ডিমের ও মুরগির চাহিদা মিটানোর পর ডিম ও মুরগি বিক্রি করে বাড়তি কিছু আয় করতে থাকেন। বাড়তি আয়ের অর্থে খামারকে প্রসারিত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বর্তমানে তার খামারে ১০ হাজার মুরগি রয়েছে। এরমধ্যে ৭ হাজার মুরগি ডিম দেয়, বাকি গুলো ছোট বাচ্চা। বর্তমানে প্রতিদিন ৬ হাজার ৮’শ ডিম বিক্রি করে থাকেন। রবিউল জানান, পোল্ট্রি ও সবজি খামারে এখন ১৫ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। এরমধ্যে চারজন নারী ও দুইজন প্রতিবন্ধি শ্রমিকও রয়েছে।

হাজী নকিম উদ্দিন পোল্ট্রি খামারের স্বত্ত্বাধিকারি আলহাজ্ব রবিউল ইসলাম আরও বলেন, মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে পরিবেশ বান্ধব একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট তিনি তৈরী করেছেন। এই প্লান্ট থেকে পরিবারের রান্নার পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটি বাড়িতে বায়োগ্যাস সাপ্লাই দিয়েছেন। রবিউল দেশের অবহেলিত যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, গবাদি পশু পালন, নকশী কাঁথা, হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ সেন্টার গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি শিক্ষিত বেকার যুবকদের পোল্ট্রি খামার করার জন্য আহ্বান জানান।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আকলিমা খাতুন বলেন, রবিউল পোল্ট্রি খামার করে আজ সফল ও মডেল খামারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। রবিউল পোল্ট্রি খামার করে কিছুটা হলেও দেশের মুরগি ও ডিমের চাহিদা পূরণ করছেন। সেই সাথে দেশের মানুষের পুষ্টির যোগানও দিচ্ছেন। রবিউলের পোল্ট্রি খামারটি